Tuesday, September 14, 2010

Anthrax আন্থ্রাক্স

Picঃ skin anthrax ( malignant pastule) চর্মে আন্থ্রাক্স

আন্থ্রাক্স, বাকটেরিয়া (Bacillus anthracis) জনিত পশু হইতে ছড়ানো (zoonotic) এক প্রকার মারাত্বক অসুখ। সাথারণত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশুর মধ্যে এ রোগ দেখা যায় এবং আক্রান্ত গৃহ পালিত পশু থেকে মানুষের মধ্যে এ অসুখের জীবাণু ছড়াতে পারে। এ জীবানুর মধ্যে স্পোর(spore) তৈরী হয় যা সহজে নষ্ট হয় না এবং আক্রান্ত প্রানীর শরীর বা এর মৃত দেহ থেকে এই স্পোর মাটিতে পড়লে তা বহু বছর পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় থাকে। সুস্থ পশু ঘাস খাওয়ার সময় এই স্পোর নিশ্বাসের সংগে ফুসফুসে গেলে কিংবা পেটে গেলে সেই পশু কয়েকদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয় এবং আক্রান্ত হওয়ার পর অতি দ্রুত মারা যায়। আক্রান্ত পশু নাড়া চাড়া করার সময় অথবা পশুর পশম থেকে এই স্পোর মানুষের শরীরে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করে ঐ রোগের সৃষ্টি করতে পারে।

মানূষের মধ্যে তিন ভাবে এই জীবানু ছড়াতে পারে-১)চর্মে - সবচেয়ে বেশী (৯৫%) ২) ফুসফুসের মাধ্যমে - ৫% ৩)ও পেটের অসুখ (gastroenteritis)- যা খুবেই কম দেখা যায়।

চর্মে আগে থেকে কাটা বা ক্ষত থাকলে সেখানে জীবানুর স্পোর সংক্রামিত হয়ে এক প্রকার ব্যথাবিহীন ঘা(malignant

pastule)

সৃস্টি হবে যা অন্যান্য জীবনুর প্রদাহ থেকে আলাদা এবং চিকিৎসা ছাড়া সহজে ভাল হয় না। ঘায়ের মাঝখানে কাল বর্ণ ধারণ করে। সংক্রামিত

মাছি কামড় দিলে ও শরীরের যে কোন স্থানের চর্মে এ রোগ ছড়াতে পারে। সময়মত চিকিৎসা না করলে মৃত্যুর হার ১০-২০%। চিকিৎসার সময় আক্রান্ত স্থানটি ঢেকে রাখতে হবে এবং ব্যবহৃত ব্যান্ডেজটি পুড়ে ফেলতে হবে। ঠিকমত চিকিসা বা এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করলেও ক্ষত সাড়তে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ লেগে যায়। সম্ভাবনাময় এলাকার লোকজন অথবা যারা পশু নিয়ে নাড়া চারা করেন তারা আগে থেকে পেনিসিলিন ঔষধ খেলে এ রোগের প্রকোপ কম দেখা যায়। তবে এর টীকা নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

সবচেয়ে মারাত্ত্বক হচ্ছে ফুসফুসের প্রদাহ-এতে মৃত্যুর হার ১০০%। জীবানুর স্পোর নিশ্বাসের সংগে ফুসফুসে গেলে তা সহজে জীবন্ত (vegetative) বাকটেরিয়ায় রুপান্তরিত হয় এবং ৩-৭ দিনের মধ্যে শ্বাসকষট সহ রোগের অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসা করলে ও মানুষ বা পশুর রোগের লক্ষণ আসার ১-৪ দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটায় । আন্থ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর নাক, মুখ বা পায়ু পথ দিয়ে সাধারনত রক্ত ক্ষরণ হতে দেখা যায়।

আশে পাশের জেলায় বা উপজেলায় আন্থ্রাক্স দেখা দিলে নিজেদের এলাকার বাজার থেকে অজানা মাংস কিনে আনলে তা ভাল ভাবে সিদ্ধ করতে হবে(১০ মিনিট সিদ্ধ করলে স্পোর মারা যায়)।তবে খাওয়ার মাধ্যমে এ রোগ খুবই কম ছড়ায়। পেটের পীড়া ছাড়াও গলায় প্রদাহ হতে পারে। ব্যবহৃত থলে,বাসন, মেঝে বা বাতরুম ইত্যাদি পটাসিয়াম পারমাংগানেট (‘পটাশ’-যা ঔষধের দোকানে পাওয়া যায়) দিয়ে ভিজে রাখতে হবে । মাংস নাড়া চাড়া করলে তা হাতের চর্মে আন্থ্রাক্স হাতে পারে কিংবা মুখে গেলে পেটের পীড়া হতে পারে। নিশ্বাসের সংগে যাতে কোনক্রমে জীবানু না যেতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন এলাকায় আন্থ্রাক্স দেখা দিলে সেখানকার হেলথ্ সার্টিফিকেট ছাড়া কোন পশুর মাংস কোনক্রমেই বিক্রয় বা কেনা যাবে না।

আক্রান্ত পশু মারা গেলে কমপক্ষে ৬/৭ ফুট গভীর গর্ত খুড়ে তাতে ক্যালসিয়াম অক্সাইড অথবা পটাসিয়াম পারমাংগানেট ভালভাবে মিশায়ে পুঁতে ফেলতে হবে। মৃত পশু সাবধানে নাড়া চারা করতে হবে। গোয়াল ঘরে পটাসিয়াম পারমাংগানেট পানিতে মিশায়ে মেঝেতে ঢেলে দিতে হবে- এ ব্যাপারে অবশ্যই নিকটবর্তী পশু হাসপাতাল থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

Anthrax: English version

Anthrax is a bacterial zoonotic disease caused by Bacillus anthracis which predominantly causes disease in herbivores such as cattle, goats, and sheep. B. anthracis is spore forming organism and anthrax spores can remain viable for decades in soil after spreading from infected animal or carcasses. Healthy animal get the disease by inhaling or ingestion spore during grassing. The animal become ill in few days of inhaling spore and dies rapidly. Naturally occurring human infection is generally the result of contact with anthrax -infected animals, carcasses or animal products such as goat or sheep hair.

Human gets the disease by three routes

1) Skin infection – this is most common type of anthrax -95%

2) Lung infection -5%- this is very dreadful type

3) Gastroenteritis – it is very rare.

Skin infection occurs by contamination of spore or bacteria in the previously abraded region. The lesion of cutaneous anthrax typically begins as a papule following the introduction of spores through an opening in the skin. This papule then evolves to a painless vesicle followed by the development of a coal-black, necrotic eschar (malignant pustule). Contaminated flies can also spread the disease by bite in the skin of neck or face. If untreated the mortality rate is 10-20%. The wound should be covered with bandage and used bandage should be safely disposed off or burned. The wound heals in 3-4 weeks even after treatment with appropriate antibiotic. Prophylactic use of penicillin can decrease incidence of anthrax in endemic area. Vaccine is available.

Pulmonary infection is very dreadful condition. After inhalation spore initial symptoms are like viral infection and it rapidly turns to moribund state. The symptoms appear in 3-7 days after exposure to spore and death typically occurred within 1–4 days following the onset of symptoms. Human to human infection not documented. Infected animal shows bleeding from natural opening like mouth, nose and anus.

Gastroenteritis due to anthrax is very rare. If there is evidence of anthrax in neighboring districts or upazilla use of meat should be care fully handled or it is better to avoid it. It should be properly cooked (spore is killed by boiling in 10 minutes). Other than gastroenteritis there may be infection in the throat also. Used bags, utensil, kitchen or bathrooms floors should be disinfected with potassium permanganate. People with skin abrasion should not handle suspicious meat. Strict precaution should be maintained about the inhalation of spore. Meat must not be sold or bought under no circumstance without proper heath certificate of the animal.

Carcasses should be properly and care fully handled and disposed off. It should be buried in 6-7 feet deep in the soil mixed with potassium permanganate or calcium oxide. The cattle house and its floor should be equally disinfected properly with potassium permanganate or calcium oxide. People should consult with veterinary hospital.

No comments:

Post a Comment